মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন

বাঘায় কনকনে ঠান্ডা, ১৭৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

বাঘায় কনকনে ঠান্ডা, ১৭৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

একুশে ডেস্ক :

রাজশাহীর বাঘায় কনকনে ঠান্ডার কারণে ১৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোববার ও সোমবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক দুই দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।

উপজেলার ৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০ ভোকেশনাল বিদ্যালয়, ২২টি কেজি স্কুল, ব্র্যাক স্কুল ৮টি, ৯টি দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ১৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক শরমিন ফেরদৌস চৌধুরীর স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রোববার ও সোমবার ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা থাকায় জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে হাড়কাঁপানো কনকনে ঠাণ্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। আড়ানীর ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করে কাজের জন্য স্থানীয় মোড়ে এসে বসে ছিলাম। সকাল ৯টা পার হয়ে যাচ্ছে, কেউ কাজে ডাকছে না। পরে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যায়। শুধু ইয়ারুল নয়। তার মতো অনেক দিনমজুর এই শীতে কাজ পাচ্ছেন না।

এদিকে বিভিন্ন ফুটপাতে খোলা আকাশের নিচে থাকা ভাসমান মানুষের জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। শীতের হাত থেকে বাঁচতে রাস্তার ধারে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকেই শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, শীত বাড়ায় ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমানে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। তবে ভর্তি রোগীর চেয়ে বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা এখন বেশি। তবে পরিস্থিতি যে খুব খারাপ, এমনটা নয়। শীতের সময় রোগী বাড়ে।

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ রহিদুল ইসলাম বলেন, রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকছে। আকাশে রোদ না ওঠায় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে। আর এর কারণে দীর্ঘসময় ধরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana